রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র । সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি এ কবি “ গুরুদেব” , “বিশ্বকবি” ও “কবিগুরু” কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক হিসেবে আখ্যা পেয়েছে।  

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের  চাকরির পরীক্ষার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে যে প্রশ্নগুলো পরীক্ষায়  আসে  আজকে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করব।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : (১৮৬১- ১৯৪১)

  • জন্ম: ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ (৭ মে ১৮৬১)
  • মৃত্যু: ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ (৭ আগস্ট ১৯৪১)
  • পারিবারিক পদবী: কুশারী
  • বংশ: পীরালি ব্রাহ্মণ
  • পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • মাতা: সারদা সুন্দরী দেবী
  • পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
  • উপাধি: কবিগুরু/ গুরুদেব 

⇒ ৭ মে, ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দে) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা জোড়াসাঁকোর

⇒ ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৭ আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে))

⇒ মৃত্যুবরণ করেন। রবীন্দ্রনাথকে ‘ বিশ্বকবি উপাধি দেন- ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।

⇒ পূর্বপুরুষ: তাঁর পূর্বপুরুষ ছিলেন পীরালি ব্রাহ্মণ (জাত হারানো ব্রাহ্মণ যারা বিধর্মীদের সংস্পর্শে আসেন)। তাঁর পূর্বপুরুষ জগন্নাথ কুশারীকে পীরালি ব্রাহ্মণ মেয়ে বিয়ের দায়ে হিন্দু সমাজচ্যুত করা হয়। তাঁর পুত্র পঞ্চানন কুশারী ১৮ শতকের শুরুতে খুলনার দক্ষিণ ডিহি থেকে কলকাতার এসে জেলে পাড়ার পুরোহিত হিসাবে কাজ শুরু করলে অনেকে ‘ ঠাকুর’ বলে ডাকেন। তাছাড়া, ইংরেজদের বাণিজ্যের সাথেও সংশ্লিষ্ট হন এবং সেখানেও ‘ ঠাকুর’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।

⇒ জন্ম-শতবার্ষিকী ও সার্ধশত: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম শতবার্ষিকী পালন করা হয় ১৯৬১ সালে। তাঁর পরবর্তী জন্ম-শতবার্ষিকী পালিত হবে ২০৬১ সালে , কবির সার্ধশত পালিত হয় ২০১১ সালে।

⇒ ছদ্মনাম (৯ টি): ভানুসিংহ ঠাকুর, অকপট চন্দ্র ভাস্কর, আন্নাকালী পাকড়াশী, ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মা, বানীবিনোদ, শ্রীমতী কনিষ্ঠা, শ্রীমতি মধ্যমা দিকশূন্য ভট্টাচার্য, নবীন কিশোর শর্মন প্রভৃতি।

⇒ নাইট উপাধি লাভ ও ত্যাগ: কবিকে ১৯১৫ সালে ভারত সরকার নাইট বা স্যার উপাধি প্রদান করে। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।

⇒ শান্তি নিকেতন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০১ সালে শান্তি নিকেতনে ‘ ব্রহ্মচর্যাশ্রম’ নামক একটি আবাসিক বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন। যা ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী কলেজে (পরবর্তীতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজে পরিণত হয়।শান্তি নিকেতন ও বিশ্বভারতী তাঁর অবদান।


স্মৃতি বিজড়িত স্থান: 

  • শিলাইদহ (কুমারখালী, কুষ্টিয়া ১৮৮৯-১৯০১): ১৮৮৯ সালে ১ ম আসেন এবং সেখানেই “ সোনারতরী” কাব্য রচনা করেন।
  • শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ): ১৮৯০ সালে জমিদারি পরিদর্শনে শাহজাদপুর আসেন।
  • দক্ষিণ ডিহি (ফুলতলা, খুলনা): রবির মা সারদা সুন্দরী দেবী ও তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর এ গ্রামে জন্ম। এমনকি তাঁদের বিয়েও এই গ্রামে।
  • পতিসর (আত্রাই, নঁওগা): ঠাকুর জমিদারির কালিগ্রাম পরগণার সদর কাচারি ছিল পতিসরে। ১৮৯১ সালে ১ ম পতিসরে আসেন এবং সর্বশেষ ১৯৩৭ সালে পরিদর্শন করেন। এটি নাগর নদীর তীরে অবস্থিত।


 প্রধান সাহিত্য কর্ম 

ছোটগল্প: (১১৯ টি)

রবীন্দ্রনাথের প্রথম ছোটগল্প ‘ ভিখারিনী ’ (১৮৭৭) ভারতী পত্রিকায় ১৮৭৪ খ্রি: প্রকাশিত হয়। এরপর ১৮৮৪– ৮৫ তে  ঘাটের কথা, রাজপথের কথা ও মুকুট নামে গল্পগুলো প্রকাশিত হলেও ১৮৯০ সালে হিতবাদী পত্রিকায় প্রকাশিত দেনা-পাওনা গল্পটিই রবীন্দ্রনাথ তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোট গল্প। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সার্থক ছোট গল্পের জনক।  

 প্রেমের গল্প: পাত্র ও পাত্রী, শেষের রাত্রি, শেষ কথা, একরাত্রি, দৃষ্টিদান, মাল্যদান, সমাপ্তি, ল্যাবরেটরি, নষ্টনীড়, মধ্যবর্তিনী, প্রায়শ্চিত্ত, মানভঞ্জন, দুরাশা, স্ত্রীর পত্র, শেষকথা, অধ্যাপক; মহামায়া, শান্তি, রবিবার।

 সামাজিক গল্প: অপরিচিতা, পোস্টমাস্টার, হৈমন্তী — গল্পে যৌতুক প্রথা প্রাধান্য পেয়েছে, ছুটি, কাবুলিওয়ালা, দেনা-পাওনা, পণরক্ষা, কর্মফল, ব্যবধান, মেঘ ও রৌদ্র, দিদি, যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ, দান-প্রতিদান, পুত্রযজ্ঞ, খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন।

 অতিপ্রাকৃত গল্প: ক্ষুধিত পাষাণ,নিশীথে, মণিহার, গুপ্তধন,, কঙ্কাল, জীবিত ও মৃত,মাস্টারমশাই। 

মনে রাখুন:
⇒ দেনা-পাওনা (ছোটগল্প)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দেনা-পাওনা (উপন্যাস) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
⇒ ক্ষুধিত-পাষাণ, কাবুলিওয়ালা, মুকুট ও সুভা প্রভৃতি সৃষ্টিকর্মে মুসলমান চরিত্র রয়েছে।
⇒ প্রকৃতি ও মানব মনের নিবিড় সম্পর্ক সূচক গল্পঃ- সুভা – অতিথি-আপদ

নাটকঃ

গীতিনাট্যঃ  বাল্মীকি প্রতিভা (১৮৮১); কালমৃগয়া, মায়ার খেলা, বসন্ত (১৯২৩)

কাব্যনাট্যঃ মালিনী, চিত্রাঙ্গদা, বিসর্জন, রূদ্রচন্দ্র, রাজা ও রাণী, প্রকৃতির প্রতিশোধ।

নাট্যকাব্যঃ বিদায় অভিশাপ

নৃত্যনাট্যঃ শ্যামা, চণ্ডালিকা, (চিত্রাঙ্গদা), নটীর পুজা (১৯২৬) – এই নাটকে প্রথম অভিনয়ের সাথে নাচ ও গানের প্রয়োগ হয়।

সামাজিক নাটকঃ বাশরী, শোধবোধ।

সাংকেতিক নাটকঃ মুক্তধারা, রক্তকরবী, অচলায়তন, ফাল্গুনী, শারদোৎসব, কালের যাত্রা, তাসের দেশ (১৯৩৩), রাজা, ডাকঘর, প্রায়শ্চিত্ত।

বসন্ত (১৯২৩)ঃ  একটি গীতিনাট্য। এই নাটকের বিষয় যৌবনের প্রতীক ঋতুরাজ বসন্তের জয়গান। রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থ কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেন।

বিসর্জন (১৮৯০) নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। এতে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এই নাটকের প্রধান দুটি চরিত্র রঘুপতি ও জয়সিংহের ভূমিকায় বিভিন্ন সময়ে অভিনয় করেন। এতে গোমতী নদীর উল্লেখ রয়েছে।

** রবি ঠাকুর তাঁর ১৩ টি নাটকে অভিনয় করেন।

প্রহসনঃ 

বৈকুণ্ঠের খাতা, চিরকুমার সভা (১৯২৬), শেষ রক্ষা, ব্যঙ্গকৌতুক, হাস্যকৌতুক, গোড়ায় গলদ।

রবীন্দ্রনাথ (১৯০০-০১) সালে ‘ প্রজাপতি নির্বন্ধ’ নামে এই বঙ্গদর্শন পত্রিকায় একটি আখ্যান রচনা করেন। এটি ১৯০৮ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯২৬ সালে ‘ প্রজাপতির নির্বন্ধ ‘-কে’ চিরকুমার সভা ‘ নামে নাট্যরূপ দেন।

উপন্যাস: 

গোরা, শেষের কবিতা, শেষ চার অধ্যায়, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, দুই বোন, মালঞ্চ, রাজস্বী, ঘরে-বাইরে, যোগাযোগ, বৌ ঠাকুরাণীর হাট, নৌকাডুবি।

রাজনৈতিক উপন্যাস:

 ‘ গোরা ’ রচনা (১৯১০) করা হয় বঙ্গভঙ্গ নিয়ে।

 ‘ চার অধ্যায় ’ রচিত হয় স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে

 ‘ ঘরে-বাইরে ’ রচিত হয় ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিকে ঘিরে। চলিত ভাষায় রচিত তাঁর প্রথম উপন্যাস। 

বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস:

 ‘ শেষের কবিতা ’ (রোমান্টিক/ কাব্যধর্মী উপন্যাস), চার অধ্যায়।

ঐতিহাসিক উপন্যাস:

 ‘ চোখের বালি ’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্বিক উপন্যাস।

‘ রাজস্বী ’ ও ‘ বৌ ঠাকুরানীর হাট ‘।

 প্ৰবন্ধঃ

সমাজ, সাহিত্য, ধর্ম, কালান্তর, সভ্যতার সংকট, ছেলেবেলা,প্রাচীন সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, লোকসাহিত্য, শিক্ষা, মানুষের ধর্ম, বিশ্বপরিচয়,, সাহিত্যের স্বরূপ, ভারতবর্ষ, শব্দতত্ত্ব,আত্মপরিচয়, বিবিধ প্রসঙ্গ, পঞ্চভূতের ডায়েরি, বাজে কথা,।

স্মৃতিকথাঃ

জীবনস্মৃতি (১৯১২) ,ছেলেবেলা (১৯৪০),আত্মপরিচয় (১৯৪৩)  

রাজনৈতিক:

সভ্যতার সংকট, স্বদেশ, কালান্তর, আত্মশক্তি, ভারতবর্ষ।

কাব্যগ্রন্থের নাম:

সোনার তরী, বলাকা, পুনশ্চ, চিত্রা, পুরবী, ক্ষণিকা, পত্রপুট,চৈতালি, বনবাণী, সেঁজুতি ,কল্পনা, ভগ্ন হৃদয় (গীতিকাব্য), প্রভাত সঙ্গীত, কণিকা, কড়ি ও কোমল, কথা ও কাহিনী, নৈবেদ্য, গীতাঞ্জলি, শেষ লেখা (২০ তম ও ৩৮ তম বিসিএস) —শেষ কাব্যগ্রন্থ।

পত্ৰ সাহিত্য:

ছিন্নপত্রাবলী (১৯১২), (১৫৩ টি পত্র, আত্মকথন) ১ ম ৮ টি পত্র শ্রীশচন্দ্র মজুমদারকে এবং ১৪৫ টি পত্র ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে। চিঠিপত্র, য়ুরোপ যাত্রীর পত্র (সর্ব প্রথম পত্র কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকলন) নির্মলকুমারী কে, পথে ও পথের প্রান্তে,’ ভানুসিংহের পত্রাবলী ‘ (রানী অধিকারীকে লেখা) রবি মোট ১২ বার বিশ্ব ভ্রমণে নেয়া হয়েছে।

ভ্রমণ কাহিনীঃ

য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র, জাভা যাত্রীর পত্র, জাপান্ন যাত্রী, রাশিয়ার চিঠি রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ কাহিনী বিষয়ক গ্রন্থ।

আত্মজীবনীঃ

জীবনস্মৃতি, আমার ছেলেবেলা, আত্মপরিচয়।

 গীতাঞ্জলি

→ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ এবং এই কাব্যটির জন্য তিনি সর্বাধিক বিখ্যাত।

→ এটি ১৫৭ টি গীতিকবিতার সংকলন। এগুলো মূলতঃ ব্রাহ্ম ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা এবং কবি-আরোপিত সুরে অধিকাংশ গীত হয়ে থাকে।

→ ১৯০৮-০৯ সালে রচিত এই কবিতগুলি ১৯১০ সালে গীতাঞ্জলি ‘ নামক গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।

→ ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে শুরুর দিকে রবীন্দ্রনাথের জাহাজযোগে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রার পূর্বে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পদ্মা নদীতে বিশ্রাম নিতে শুরু করেন। মূলত: এ সময় তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিতে গীতাঞ্জলি/ The Song Offerings কাব্যগ্রন্থের অনুবাদ শুরু করেন। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদে সহায়তা অথবা সম্পাদনা করেছেন- W B Yeats ।

→ গীতাঞ্জলি কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের জন্য ১৯১৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।


অন্যান্য

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নয়টি ছদ্মনামে গ্রন্থ রচনা করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩২ সাল হতে শ্রী শব্দটি নাম থেকে ত্যাগ করেন। তাঁর চৈনিক নাম- চু চে তান (রবি + ইন্দ্র + নাথ)।

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ' আমার সোনার বাংলা' রবীন্দ্রনাথের ' গীতবিতান' কাব্য গ্রন্থের‘ স্বরবিতান ’ অংশ থেকে নেওয়া। এটি সর্বপ্রথম ' বঙ্গদর্শন' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।আমার সোনার বাংলা এবং বাংলার মাটি বাংলার জল গান দুটি তিনি বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে রচনা করেন।

তাঁর ‘ সোনার তরী ' কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি রচনা করেন- নৈবেদ্য।

 ‘ দুই বিঘা জমি' কবিতাটি ' চিত্রা ’, ‘ আষাঢ় ’ কবিতাটি' ক্ষণিকা ', এবং' বলাকা ও শাজাহান’ কবিতাটি ' বলাকা' কাব্য হতে নেওয়া হয়েছে।

হিজলী জেলে বন্দীদের উপর ব্রিটিশ অত্যাচারের প্রতিবাদে তিনি ‘ প্রশ্ন ’ কবিতাটি লিখেন।

‘ রাজর্ষি ' উপন্যাসের প্রথম অংশ নিয়ে ‘বিসর্জন ' নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত হয়।
জালিওয়ানাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে তিনি' নৈবেদ্য ' কাব্যটি রচনা করেন।

‘ নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ ’ কবিতাটিকে তিনি তাঁর সমস্ত কবিতার ভূমিকা বলে আখ্যায়িত করেন।

ব্রিটিশ কারাগারে বন্দীদের উদ্দেশ্যে তিনি ‘ চার অধ্যায়' উপন্যাসটি রচনা করেন।

মানব জীবনকে তিনি তুলনা করেছেন নদীর সাথে। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে পরীক্ষায়  আসা ১০-৪০ বিসিএস প্রশ্ন

১. বাংলায় টি. এস. এলিয়টের কবিতার প্রথম অনুবাদক– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। [১০তম]। 

২। শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রাথ রচিত উপন্যাসের নাম। [১০তম]। 

৩। কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-শতবার্ষিকী পালিত হয়— ১৯৬১ সালে। [১৩তম]। 

৪| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নিঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতায় কবির উপলব্ধি হচ্ছে— ভবিষ্যৎ বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়। [১৪তম]।

৫া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন— বসন্ত। [১৫তম]। 

৬। কোন উপন্যাসটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ—ঘরে-বাইরে। [১৬তম]। 

৭। কোন বইটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়— দোলন চাঁপা। [১৮তম]। 

৮| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হলাে—ভানুসিংহ ঠাকুর। [১৯তম)। 

৯। কোনটি কাব্যগ্রন্থ—শেষ লেখা। [২০তম, ৩৮তম] | 

১০। কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা—চতুরঙ্গ। [২১তম]।

১১। সঞ্চয়িতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। [২২তম] 

১২। রবীন্দ্রাথের কোন গ্রন্থটি নাটক—রক্তকরবী। [২২তম] 

১৩। পদাবলী লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। [২২তম]। 

১৪। ‘ভানু সিংহ’ কার ছদ্মনাম—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। [২৪তম (বাতিলকৃত), ৩৪তম] 

১৫| রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থটি উপন্যাস—শেষের কবিতা। [২৪তম]। 

১৬। মৃন্ময়ী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের নায়িকা—সমাপ্তি। [২৫তম]। 

১৭। সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা’- রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা— বলাকা৷ [২৫তম] ।

১৮।‘তােমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি’- রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা—শেষ লেখা। [২৬তম] 

১৯। ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’-এর রচয়িতা কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। [২৬তম]। 

২০৷ ‘শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছােটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের সংলাপ— সমাপ্তি। [২৭তম] 

২১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্প কোনটি— ক্ষুধিত পাষাণ। [২৮তম]। 

২২। রবীন্দ্রনাথের ‘সােনার তরী’ কবিতা কোন ছন্দে রচিত মাত্রাবৃত্ত। [৩০তম] 

২৩।‘ছিন্নপত্রের অধিকাংশ পত্র কাকে উদ্দেশ্য করে লেখা— ইন্দিরা দেবী। [৩১তম)। 

২৪। গীতাঞ্জলীর ইংরেজি অনুবাদ সম্পাদনা করেছেন—ডবলিউ. বি. ইয়েটস। [৩৩তম] 

২৫। ঘরে বাইরে’ উপন্যাসটি কার লেখা—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। [৩৪তম] 

২৬। কোনটি রবীন্দ্ররচনার অন্তর্গত নয়— “অগ্নিগ্রাসী বিশ্বাসি জাগুক আবার আত্মদান”।[৩৫তম] 

২৭৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের আদিবসতি কোথায় ছিল— খুলনার দক্ষিণ ডিহি। [৩৫তম]। 

২৮। কোন চরিত্র দুটি রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাসের নিখিলেস-বিমলা। [৩৬তম] 

২৯। একখানি ছােট ক্ষেতে আমি একেলা’-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার চরণ— সােনার তরী। [৩৬তম] । 

৩০। “আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে দিব নিছনি।” রবীন্দ্রনাথের এ গানে ‘নিছনি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে—উপহার অর্থে। [৩৭তম]। 

৩১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “গীতাঞ্জলি কাব্য প্রকাশিত হয় কত সনে—১৯১০[৩৭তম] 

৩২। চন্দরা কার রচিত উপন্যাস—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। [৩৮তম]।

৩৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কৌতুক নাটক— বৈকুণ্ঠের খাতা। [৩৯তম] 

৩৪। কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যাবেলায় দীপ জ্বালার আগে সকালবেলায় সলতে পাকানাে যােগাযােগ“ বাক্যদ্বয় কোন রচনা থেকে উদ্ধৃত [৪০তম । 

৩৫। ‘জীবনস্মৃতি’ কার রচনা— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। [৪০তম]।


চাকরির পরীক্ষার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে যে প্রশ্ন যেগুলো পরীক্ষায়  আসে।

১। বিবিসির বাংলা বিভাগ পরিচালিত জরিপে (২০০৪) সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় রবীন্দ্রনাথের স্থান কততম ?
– ২য় (প্রথম – বঙ্গবন্ধু )।
২। রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় আসেন কয়বার ?
– ২বার (১৮৯৮ ও ১৯২৬)।
৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে আসেন?
– ১৯২৬ সালে।
৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯২৬ সালে কার্জন হলে ১ম বক্তৃতার নাম কি?
– The Meaning of Art.
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯২৬ সালে কার্জন হলে ২য় বক্তৃতার নাম কি?
– The Rule of the Giant.

৬। রবীন্দ্রনাথকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে ডি.লিট উপাধী দেয় ?
– ১৯৩৬ সালে।
৭। ‘আশীর্বাদ কর – তোমার স্মৃতি যেন তরুণ এই মুসলিম হলের অন্তরে চিরদিন রস ও নবনব কর্মপ্রেরণা সঞ্চার করে’- এই
রবীন্দ্রনাথকে প্রার্থনাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারা করেছিল?
– ১৯২৬ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মুসলিম বর্তমান সলিমুল্লাহ হলের ছাত্ররা।
৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের
ছাত্রদের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ কোন
গীতিকবিতা রচনা করেছিল?
– বাসন্তিকা (প্রথম পঙক্তি – এই কথাটি মনে রেখো /তোমাদের এই হাসি খেলায় / আমি এ গান গেয়েছিলেম/ জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়)।
৯। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়টি ছদ্মনাম ছিল?
– ৯টি (ভানুসিংহ ঠাকুর, অকপটচন্দ্র, আ্ন্নাকালী পাকড়াশী, দিকশূন্য ভট্টাচার্য, নবীন কিশোর শর্মণ, ষষ্ঠীচর দেবশর্মা, বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ, শ্রীমতি কনিষ্ঠা,

শ্রীমতি মধ্যমা)।
১০। কোন বাঙালি প্রথম গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন ?
– রবীন্দ্রনাথ (এ জন্য তিনি পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমেরিকার আরবানায় ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান কৃষি ও পশুপালন বিদ্যায় প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে)।
১১। ’বঙ্গভঙ্গ বিক্ষোভ’ প্রামান্য চিত্রের পরিচালক কে?
– রবীন্দ্রনাথ।
১২। ১৮৯২সালে রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ আসেন এবং একটি কাব্য রচনা করেন তার নাম কি?
– সোনার তরী।
১৩। লালনের গানকে সর্বপ্রথম সংগ্রহ করেন ?
– রবীন্দ্রনাথ (২৯৮ টি)।
১৪। রবীন্দ্রনাথের চৈনিক নাম কি?

 চু চেন তান।
১৫। রবীন্দ্রনাথ কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে ডি.লিট উপাধী দেয় ?
– ১৯৩৬ সালে।
১৬। রবীন্দ্রনাথকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কবে ডি.লিট উপাধী দেয় ?
– ১৯৪০ সালে।
১৭। রবীন্দ্রনাথকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে ডি.লিট উপাধী দেয় ?
– ১৯১৩ সালে।
১৮। রবীন্দ্রনাথ নিজের আঁকা ছবিগুলোকে কী বলেছেন?
– শেষ বয়সের প্রিয়া।
১৯। আর্জেটিনার কোন মহিলা কবিকে রবীন্দ্রনাথ বিজয়া নাম দেন ?
– ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো (তাঁকে উত্সর্গ
করেন পূরবী কাব্য)।

২০। ‘’আজি এ প্রভাতে রবির কর
/ কেমনে পশিল প্রাণের পর’’- পঙক্তিটি কার ?
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ)।
২১। শান্তিনিকেতন/ ব্রহ্মচর্যাশ্রম কতসালে প্রতিষ্ঠিত করে ?
– ১৯০১ সালে (কলকাতার অদূরে বোলপুরে)।
২২। হিন্দু -মুসলমানদের মিলনের লক্ষ্যে
রবীন্দ্রনাথ কোন উৎসবের সূচনা করেন ?
– রাখিবন্ধন।
২৩। ‘’ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী”- উক্তিটি কার ?
– রবীন্দ্রনাথের।
২৪। রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কাব্যসংকলনের নাম কি?
– সঞ্চয়িতা।

২৫। রবীন্দ্রনাথ কাজী নজরুলকে কোন কাব্য উৎসর্গ করেন ?
– বসন্ত (গীতিনাট্য)। নজরুল রবীকে – সঞ্চিতা।
২৬। রবীন্দ্রনাথ তাঁর কতটি নাটকে অভিনয় করেন ?
– ১৩ টি।
২৭। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের বংশের নাম কি ছিল ?
– পিরালি ব্রাহ্মণ।
২৮। পারিবারিক উপাধী ?
– কুশারী।
২৯। রবীন্দ্রনাথ তাঁর পিতা-মাতার কততম সন্তান?
– চতুর্দশ সন্তান এবং অষ্টম পুত্র।
৩০। গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়?
– ১৯১০ সালে।

৩১। ‘Songs of Offerings’- নামে প্রকাশিত হয়?
– ১৯১২সালে।
৩২। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পায়?
– ১৯১৩ সালে।
৩৩। ‘গীতাঞ্জলি‘- এর ভূমিকা লেখেন?
– ইংরেজি কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস।
৩৪। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধাচারণ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গান?
– ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।
৩৫। “আমার সোনার বাংলা”- গগণ হরকরার সুরের অনুকরণে রচনা করেন কে?
– রবীন্দ্রনাথ।

৩৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম উপন্যাস?
– করুণা (১৮৭৭-৭৮)।
৩৭। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থ?
– কবিকাহিনী (১৮৭৮)।
৩৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত
গীতিনাট্য?
– বাল্মীকি প্রতিভা (১৮৮১)।
৩৯। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম গদ্যগ্রন্থ?
– য়্যুরোপ প্রবাসীর পত্র (১৮৮২)।
৪০। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস?
– বৌঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩)।
৪১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত
প্রবন্ধগ্রন্থ?

– বিবিধ প্রসঙ্গ (১৮৮৩)।
৪২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস?
– চোখের বালি।
৪৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী
গ্রন্থের নাম?
– জীবন স্মৃতি ও ছেলেবেলা।
৪৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধ্বনিবিজ্ঞানের উপর লেখা গ্রন্থের নাম?
– শব্দতত্ত্ব।
৪৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম ছোটগল্প?
– ভিখারিনী।
৪৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম উপন্যাস?
– করুণা।
৪৭। কারাগারে বন্দিদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ
করেন?
– চার অধ্যায়।

৪৮। রবীন্দ্রনাথ নাইট উপাধি পান?
– ১৯১৫ সালে। ত্যাগ করেন – ১৯১৯ সালে।
৪৯। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘গুরুদেব’ সম্মানে ভূষিত করেন?
– মহাত্ম গান্ধী।
৫০। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকবি’ সম্মানে ভূষিত করেন?
– বহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।
৫১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘কবিগুরু’ উপাধিতে ভূষিত করেন?
– ক্ষিতিমোহন সেন।
৫২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘ভারতের মহাকবি’ উপাধিতে ভূষিত করেন?
– চীনা কবি চি-সি-লিজন।
৫৩। শান্তিনিকেতন থেকে নোবেল চুরি হয়?
– ২৪ মার্চ, ২০০৪ সালে।

৫৪। বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা?
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
৫৫। রবীন্দ্রনাথের জন্ম শতবার্ষিকীতে
বহির্বিশ্বের প্রথম কোন দেশ তাকে নিয়ে
ডাকটিকেট প্রকাশ করে?
– ব্রাজিল।
৫৬। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চলচ্চিত্র করেছে?
– চীন।
৫৭। বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে ডাক টিকিট প্রকাশ করে?
– ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে, ৭ আগস্ট, ১৯৯১ সালে।
৫৮। রবীন্দ্রনাথ এর প্রথম রচনা সংকলন?
— চয়নিকা।
৫৯। রবীন্দ্রনাথ এর রাজর্ষি উপন্যাস কোন পত্রিকায় পকাশ হয় ?
— বালক পত্রিকা।

৬০। রবীন্দ্রনাথ এর “উৎসর্গ” কি ?
— ১ টি কাব্যগ্রন্থ।
৬১। গীতাঞ্জলী কয়টি গানের সংকলন?
– ১৫৭ টি।
৬২। রবীন্দ্রনাথ এর কোন উপন্যাসটি ছোট গল্পধর্মী ?
— নষ্টনীড়।
৬৩। রবীন্দ্রনাথ এর কোন গল্পটি উপন্যাসধর্মী?
— চতুরঙ্গ।
৬৪। “চার অধ্যায়” কোণ ধরনের উপন্যাস?
— রাজনৈতিক।
৬৫। রবীন্দ্রনাথ এর কোন নাটকের প্রথম নাম ছিল পথ ?
— মুক্তধারা।

৬৬। “কালান্তর” রবীন্দ্রনাথ এর কি ?
– ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সমস্যা বিষয়ক প্রবন্দের সংকলন।
৬৭। রবীন্দ্রনাথ এর সর্বশেষ গদ্যরচনা
কোনটি ?
— সভ্যতার সঙ্কট।
৬৮। রবীন্দ্রনাথ এর বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ?
— বিশ্ব পরিচয়।
৬৯। রবীন্দ্রনাথ এর চিরকুমার সভা কি ? — ১ টি কৌতুক নাটক।
৭০। রবীন্দ্রনাথ এর আত্মজীবনী কোনটি?
— জীবনস্মৃতি।
৭১। রবীন্দ্রনাথ এর ‘নটির পূজা’- নাটকটি কোন ধর্মের কাহিনী ?
— বুদ্ধ ধর্ম।

৭২। “মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ”- এটা কোন গদ্যরচনা এর লাইন?
– সভ্যতার সংকট।
৭৩। ‘ছিন্নপত্র’ কাকে লেখা চিঠি এর সমাহার? #Engr_Sohag
— ভাতিজি ইন্দিরা দেবী।
৭৪। “পঞ্চভূত”- রবীন্দ্রনাথ এর কি ?
— প্রবন্ধ গ্রন্থ।

৭৫। “সে”- রবীন্দ্রনাথ এর কি ?
–গল্প গ্রন্থ।
৭৬। ‘নষ্টনীড়’ কি?
– রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসধর্মী ছোটগল্প।
৭৭। রবীন্দ্রনাথ ৪ টি পত্রিকা সম্পাদনা করেন?
— সাধনা+ভারতি+বঙ্গদর্শন+তত্ত্ববোধনী।
৭৮। মারা যাওয়ার পরে প্রকাশিত গ্রন্থ?
— শেষ লেখা (১৯৪১) এবং ছড়া (১৯৪১)।
৭৯। রবীন্দ্রনাথের নাটক সমূহ?

– রক্তকরবী, তাসের দেশ, ডাকঘর, বসন্ত, চণ্ডালিকা, চিরকুমার সভা, বৈকুন্ঠের খাতা, রাজা, অচলায়তন, বিসর্জন, প্রায়শ্চিত্ত ইত্যাদি।
৮০। রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় স্থাপিত হচ্ছে ?
– সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে । তবে কুষ্টিয়ার কুটিবাড়িতে ও নওগাঁর পতিসরেও আলাদা ক্যাম্পাস থাকবে। দেশের ৩৮তম বিশ্ববিদ্যালয় এটি।